রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৬ আগস্ট, ২০২৪ ৭:০১ : অপরাহ্ণ
সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালতকে বলেছেন, ‘গত ৭ আগস্ট রাতে ডিজিএফআইয়ের একটি দল আমাকে বাসা থেকে নিয়ে আসে। এরপর আট দিন ধরে গতকাল রাত পর্যন্ত আমাকে আয়নাঘরে (একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন বন্দিশালা) রাখা হয়েছিল। আমি কোনো গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত না। আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ।’
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন।
সচেতন নাগরিক হিসেবে রিমান্ড শুনানিতে এক আইনজীবী বলেন, ‘আজকের আসামি অমানুষ। আয়নাঘরের কারিগর। জনগণের গলাচিপে ধরেছেন। হাজার হাজার গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত।’
এ সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে, তাদের কেউ বলুক আমি তাদের আয়নাঘরে রেখেছি। যেভাবে আমাকে নিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থ। আমার হার্টে ৭৫ শতাংশ ব্লক ধরা পড়েছে। এ ছাড়া শারীরিক অন্যান্য সমস্যাও রয়েছে।’
প্যাগাসাস সফটওয়্যারের বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘প্যাগাসাস বলে কিছু নেই। আমি মোবাইল ট্র্যাকিং করিনি। আমি নির্দোষ।’
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আদালতে এসব কথা বলার সময় বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা বলেন, তিনি গণহত্যার আসামি। তার কথা বলার অধিকার নেই।
তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন জিয়াউল আহসানের বোন অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার।
এ সময় জিয়াউল আহসান বলেন, র্যাবে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।
আদালতে জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জিয়ার আট দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে জিয়াউল আহসান ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক (ডিজি) থাকাকালে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুখ খুললেন র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত একরামের স্ত্রী, বললেন দুই মন্ত্রী…