সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি দিল্লি থেকে বিবৃতি দিতে থাকেন, তবে সেটি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এটা কোনোভাবেই দুই দেশের সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই বার্তা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেছেন।
এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি আমি ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বলেছি। তবে রাষ্ট্রদূতের পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সম্ভব না। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি নিশ্চিত তিনি এটা সদর দপ্তরে জানাবেন।’
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই আলোচনা কেন হলো জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আলোচনার প্রেক্ষাপট হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বক্তব্য এসেছে, সেটি আসলে এই সরকারের জন্য (অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য) সুবিধাজনক এবং স্বস্তিকর হচ্ছে না। আমরা চাই তিনি যেন ভারতে বসে এটি না করেন।’
শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় বললে আমরা তাকে ফেরত আনবো। না হলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই।’
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং রাষ্ট্রদূত সেটি ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছিলেন। আমি বলেছি যে এই ইস্যু যদি দুইপক্ষ চাই, তাহলে আমরা বন্ধ করতে পারি বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বতী সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে বিদেশি কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছেন। তাদের জানিয়েছি, প্রয়োজনের চেয়ে একদিনও বেশি থাকবে না এই সরকার।’
আরও পড়ুন: ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বান জয়ের