প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, দুপুর ১টার মধ্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতিকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের দাবি জানালেও তা না করায় হাইকোর্ট ঘেরাও করতে কার্জন হলের গেটে সকলকে জমায়েত হতে বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।
আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারির পর প্রধান বিচারপতির ডাকা ‘ফুলকোর্ট মিটিং’ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়ালি এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ আজ সকাল নয়টার দিকে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্র জমায়েতর ডাক দেয়। তিনি প্রধান বিচারপতির হঠাৎ করেই ‘ফুলকোর্ট মিটিং’ আহ্বানকে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র বলে মত দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করে ফুলকোর্ট মিটিং ডেকেছে।
এ ছাত্রনেতা আরও বলেন, পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উষ্কানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে।
হান্নান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার
