বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের বীর সন্তানদের। যারা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। শত শত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা। তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মেধা, যোগ্যতা ও জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি, গণতন্ত্রের ধ্বংস স্তুপের মধ্য থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর মুক্ত হয়ে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আবার আপনাদের সামনে কথা বলতে পেরে শুকরিয়া আদায় করছি। বীর সন্তানদের মরণপণ সংগ্রামের মাধ্যমে এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এ বিজয় বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকারের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ বিজয় আমাদের নতুন সংগ্রামে নিয়ে এসেছে। এখন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। সব ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ধ্বংস চাই না, শান্তি চাই।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা দিয়ে নতুন সমাজ গড়ে তোলবো। আসুন, শান্তি, প্রগতি আর সাম্যের ভিত্তিতে আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে আসুন আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি।’
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সর্বশেষ রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন। এরপর থেকে তিনি আর কোনো সমাবেশে প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের সামনে আসতে পারেননি। দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় থাকার পর সম্প্রতি তিনি নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পর বিএনপির বাধাহীন সমাবেশ, নয়াপল্টন জনসমুদ্র