রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৬ আগস্ট, ২০২৪ ৩:২১ : অপরাহ্ণ
অবশেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত চার বছর ধরে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গৃহবন্দি ছিলেন।
গতকাল সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশ থেকে পালিয়ে যান। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
এরপর গণভবন দখল করে নেয় ছাত্র-জনতা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও দখল করে নেন তারা।
এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব গ্রহণ করে সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা হয়। ওইদিনই তাকে পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরে একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ৭ বছরের সাজা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।
২৫ মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারীর সময় মানবিক বিবেচনায় সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাস স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছিল, তিনি রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না এবং দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে বিএনপি বারবার খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানালেও সরকার তা নাকচ করে দেয়।
আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার শেষ চার ঘণ্টা যা ঘটেছিল
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা কে কোথায়
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন এখন কোথায়?