রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট ২০২৪, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ সোমবার বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন সজীব ওয়াজেদ।
জয় বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এতোটাই হতাশ যে তার কঠোর পরিশ্রমের পরও কিছু লোক তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মা (শেখ হাসিনা) রোববার থেকেই পদত্যাগের কথা ভাবছিলেন এবং পরিবারের চাপে নিজের নিরাপত্তার জন্য দেশ ছেড়েছেন।’
জয় বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ক্ষমতা নিয়েছেন তখন বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে মনে করা হতো। এটি ছিল একটি দরিদ্র দেশ।’
এর আগে আজ দুপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তারা। তাদের বহনকারী উড়োজাহাজটি আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবতরণ করেছেন। সেখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন তারা।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। তার সঙ্গে থাকা বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি।
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনো বিমান পাঠাতে পারে না। কারণ, তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে।
ভারত থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে আগে ভারতে পৌঁছতে হবে। তারপর সেখান থেকে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তার নিকটবর্তী অবতরণ স্থান ছিল আগরতলা বিমানবন্দর। সেখানেই নেমেছেন শেখ হাসিনা। আগরতলা থেকে তাকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দেশ ছেড়ে পালালেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা
শেষ মুহূর্তে দিল্লির সহযোগিতাও পাননি শেখ হাসিনা
দিল্লিতে শেখ হাসিনা, যেতে পারেন লন্ডনে