মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৩০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

মিছিল নিয়ে ঢাকার রাস্তায় লাখো মানুষ


আজ সোমবার দুপুরে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়কে রাস্তায় নেমে আসো হাজারো মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট ২০২৪, ২:০৯ অপরাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন লাখ লাখ মানুষ। মিছিলকারীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজধানী।

আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে যাত্রাবাড়ী, সাভার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,শাহবাগ, বাড্ডা, উত্তরা মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।

রাজধানীর উত্তরা থেকে বনানী অভিমুখে হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে যান। এতে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ছাড়াও স্থানীয় মানুষ রয়েছে ওই দলে। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান।

শাহবাগেও হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে মানুষ আসছেন।

দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাজার হাজার আন্দোলনকারী আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে অবস্থান করছিল। যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে প্রায় দুই হাজার মানুষ অবস্থান নেয়। এসময় মুহুর্মুহু স্লোগান দিচ্ছিল ছাত্র-জনতা। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় আশেপাশের গলি থেকে হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হয়। এর ১২ থেকে ২০ মিনিট পরেই সব মানুষ একসঙ্গে ফার্মগেটের দিকে এগোতে শুরু করে। তাদের হাতে বাঁশ, লাঠি এসব দেখা যায়। তবে তারা কোথাও আক্রমণ বা হামলা করেনি।

 

এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ বিকেল ৩টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সে সময় পর্যন্ত জনসাধারণকে সহিংসতা পরিহার করে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো।

দেড়টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও চালু করা হয়, যা সকালে বন্ধ করা হয়েছিল। মোবাইল ইন্টারনেটও চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বেলা পৌনে দুইটার দিকে জানা যায়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত শনিবার (৩ আগস্ট) এক দফা দাবিতে সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা, হামলা ও সংঘর্ষে এ পর্যন্ত পুলিশের ১৪ সদস্যসহ প্রাণ গেছে ৯৮ জনের।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় গত ১ জুলাই। এরপর গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে। এর পরদিন থেকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

এই পরিস্থিতিতে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচিকে ঘিরে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

আরও পড়ুন: কারফিউয়ের মধ্যেই ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি আজ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর