ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে অবতরণ করেছেন।
আজ সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য জানায়।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, নয়াদিল্লির উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে হিন্দন বিমানঘাঁটিতে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি। সেখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন তিনি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। তাই তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিবেন শেখ হাসিনা।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। তাঁর সঙ্গে থাকা বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা কয়েকদিন দিল্লিতে থাকবেন। এরপর তিনি লন্ডনে যাবেন।
এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, শেষ সময়ে শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি।
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনো বিমান পাঠাতে পারে না। কারণ, তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে।
ভারত থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাকে আগে ভারতে পৌঁছতে হবে। তারপর সেখান থেকে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তার নিকটবর্তী অবতরণ স্থান ছিল আগরতলা বিমানবন্দর। সেখানেই নেমেছেন শেখ হাসিনা। আগরতলা থেকে তাকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে, আজ বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশ থেকে পালিয়ে যান। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
এরপর গণভবন দখল করে নেয় ছাত্র-জনতা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও দখল করে নেন তারা।
আরও পড়ুন:
দেশ ছেড়ে পালালেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা
শেষ মুহূর্তে দিল্লির সহযোগিতাও পাননি শেখ হাসিনা