সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা অন্যান্য দল ও সংগঠন

‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে সংহতি

দেশবাসীকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান হেফাজত আমীরের


হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। ফাইল ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৪ আগস্ট, ২০২৪ ১১:৩৪ : অপরাহ্ণ

ছাত্র-জনতার সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে দেশবাসীকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

আজ রোববার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিবৃতির বিষয়টি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মীর ইদ্রিস গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘‘আমাদের দেশের বীর ছাত্র-জনতা সোমবার একদফার ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচি দিয়েছে। এর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দল-মত নির্বিশেষে সবাই ঢাকা চলুন। এটা আমাদের নয়া মুক্তির লড়াই। যারা এতদিন আমাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে; রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা রুদ্ধ করেছে; আজকে তাদের ফ্যাসিবাদী রাজত্বের অবসান ঘটানোর চূড়ান্ত সময় এসেছে।’’

 

হেফাজত আমীর আর বলেন, ‘আল্লাহর ফায়সালার দিকে তাকিয়ে আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি। শত জেল-জুলুম, ষড়যন্ত্র ও চাপ মোকাবিলা করে এতোদিন আমরা সবর করেছি। আজকে সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর।’

রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে শুরু হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন। এ কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত সারাদেশে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানা যায়।

অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই আজ সোমবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় গত ১ জুলাই। এরপর গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে। এর পরদিন থেকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

এই পরিস্থিতিতে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচিকে ঘিরে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

আরও পড়ুন: অসহযোগ আন্দোলন: সারাদেশে সংঘর্ষ, গুলি, নিহত ১০০

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর