রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট ২০২৪, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
নরসিংদীতে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়ার পর ধাওয়া দিয়ে আওয়ামী লীগের ছয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হন আরও অনেকে।
আজ রোববার দুপুর একটার দিকে নরসিংদীতে মাধবদী বাজার মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন-মাধবদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চরদিগলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন (৩৮), মাধবদী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন (৪০), নরসিংদী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শ্রমিক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান ভূইয়া ওরফে নাতি মনির (৪২), মহিষাশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল (৪০), কামাল হোসেন (৩৫), মো. সোহেল মিয়া (৩৮)।
আহতদের মধ্যে সুমন মিয়া (৩৫), সোহেব (৪১), আল আমিনকে (২৫) নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং মীর জাহাঙ্গীরকে (৩০) মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে মাধবদী পৌরসভার সামনে এসপি ইনস্টিটিউট মাঠে অবস্থান করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক হতে মাধবদী পৌর শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা আবারও মাধবদী পৌরসভায় আগুন দেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বের হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে আন্দোলনকারীরা ধাওয়া দিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালাতে থাকেন। এ সময় ছয়জন নেতাকর্মী মাধবদী বড় মসজিদে আশ্রয় নেয়। আন্দোলনকারীরা তাদের মসজিদ থেকে বের করে এনে পিটিয়ে হত্যা করে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘হামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ ছয়জন নিহতের খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা
কাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি