রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৪ আগস্ট, ২০২৪ ৪:২৬ : অপরাহ্ণ
দেশে চলমান সহিংসতার মধ্যে আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবার কারফিউ জারি করেছে সরকার।
আজ দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কারফিউয়ের মধ্যে সরকারি বেসরকারি আধাসরকরি স্বায়ত্ত্বশাসিত সব প্রতিষ্ঠানে আগামী সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং ও সারাদেশের নিম্নআদালত আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
তবে প্রধান বিচারপতি প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো স্থানে হাইকোর্টের বেঞ্চ বসাতে পারবেন। এছাড়া মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও সারাদেশের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা থাকবে।
৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক
এদিকে আগামী তিন দিন (সোম-মঙ্গল-বুধবার) ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ থেকে শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে শুরু হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন। এ কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানা যায়।
এদিকে অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই আগামীকাল সোমবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় গত ১ জুলাই। এরপর গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে। এর পরদিন থেকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচিকে ঘিরে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
আরও পড়ুন: ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি