বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক


আজ বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস মোড়ে আজ অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২ আগস্ট, ২০২৪ ৮:২৬ : অপরাহ্ণ

শিক্ষার্থী হত্যার বিচারসহ পূর্বঘোষিত নয় দফা দাবিতে আগামী রোববার (৪ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ছাড়া শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সরকারকে গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আব্দুল হান্নান মাসুদ ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘শনিবারের পর থেকে এ সরকারকে কোনো ট্যাক্স দেওয়া হবে না। এ সরকারের কোনো অফিসে যাওয়া হবে না। সরকারকে সর্বাত্মক অসহযোগিতা করা হবে।’ 

 

সব নাগরিককে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, সারা দেশের ছাত্র-নাগরিক, অভিভাবক, মা-বোন যে যেখানে আছেন আগামীকাল থেকে প্রত্যেকে রাজপথে নেমে আসবেন। কেউ বাড়িতে বসে থাকবেন না। এটা আপনাদের দায়বদ্ধতা, প্রতিটি শহীদের প্রতি আপনাদের এই দায়বদ্ধতা আছে। প্রয়োজনে আপনি আপনার ভবনের নিচে এসে অবস্থান করবেন, তবুও রাস্তায় থাকবেন। প্রত্যেক দল, প্রত্যেকটা মতের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, প্রত্যেকে রাস্তায় নেমে আসবেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়ান। আপনারা আর গুলি ছুড়বেন না। আমরা আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান, আপনাদের অনুজ। আপনারা এই সরকারকে অসহযোগিতা করুন। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল, শান্তিপূর্ণ থাকবে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় গত ১ জুলাই। এরপর গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে। এর পরদিন থেকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর ক্রমেই বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

সরকারি তথ্য মতে, সংঘর্ষের ঘটনায় সারাদেশে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন:

উত্তরায় পুলিশ-আ.লীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুজন গুলিবিদ্ধ

হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ, নিহত ১

চট্টগ্রামে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় নেমে এলেন হাজারো মানুষ (ভিডিও)

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর