রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২ আগস্ট, ২০২৪ ৬:১৭ : অপরাহ্ণ
মিছিল আসছে তো আসছেই। এর যেন শেষ নেই। লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল।
আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ‘দ্রোহ যাত্রা’ পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। যাতে যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ আপামর জনতা।
গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একত্র হন তারা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে, টিএসসি থেকে শহীদ মিনারে এসে জড়ো হন। বর্তমানে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার।
এর আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দ্রোহযাত্রায় অংশ নিতে বিকেল ৩টার আগ থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
যাত্রার শুরুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘দাবি এখন একটাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে আনতে হবে। সরকারের কাছে কোনো কিছু চাওয়ার নেই। তবে অনেক বিচার বকেয়া রয়েছে। ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের’ বিচার করতে হবে।’’
এরপর সাড়ে তিনটার দিকে দ্রোহযাত্রাটি শুরু হয়। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ও টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এটি শেষ হয়।
সেখানে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। তিনি বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, গ্রেপ্তার সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। রোববারের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। রোববারের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হলে রোববার বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।’
রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, দুজন গুলিবিদ্ধ
চট্টগ্রামে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় নেমে এলেন হাজারো মানুষ (ভিডিও)