রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১ আগস্ট, ২০২৪ ১০:২১ : অপরাহ্ণ
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের প্রোফাইল পিকচার লাল রঙের করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তার ফেসবুক পেজে লাল রঙের প্রোফাইল পিকচার দেওয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং সহিংসতা নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এটি ছিল শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলন। কিন্তু এই আন্দোলন থামাতে সব বাহিনীকে ব্যবহার করেছে সরকার।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস আরও বলেন, গুলি করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা ও ভারতের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেছেন, তার চাওয়া হলো জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতারা অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলুক এবং সমস্যা উত্তরণে চেষ্টা করুক।
এছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতে আরেকটি নির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে নতুন নির্বাচন দাবি ড. ইউনূসের
কোটা সংস্কার আন্দেোলনে নিহতদের স্মরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত ৩০ জুলাই সবার প্রোফাইল পিকচার লাল রঙের করার আহ্বান জানায়। পাশাপাশি চোখে-মুখে আর মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। একই দিন সারাদেশে শোক ঘোষণা করে সরকার।
কিন্তু ওইদিন ফেসবুক জুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ‘রক্ত লাল’ প্রতিবাদে সরব হয়েছিল সমগ্র বাংলাদেশ। কোটি কোটি নেটিজেন নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার কিংবা কাভার ফটো পরিবর্তন করে লাল রঙ সেঁটে দেন। এ ছাড়া চোখে-মুখে আর মাথায় লাল কাপড় বেঁধে মিছিল-র্যালিও হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে খ্যাতনামা অনেক ব্যক্তি, প্রবাসী বাংলাদেশি, এমনকি বিদেশিরাও প্রোফাইল পিকচার লাল রঙের করেন। অনেকে এখনও করছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে থাকা ভ্যারিফায়েড পেজের প্রোফাইল পিকচারও লাল করা হয়। এ ছাড়া গতকাল সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়াও নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ও কাভার ফটো লাল রঙের করেন।
লাল কাপড় বাঁধার কারণ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘‘সরকার দেশব্যাপী গণহত্যা চালিয়ে তারপর ছাত্রদের আন্দোলনকে ‘সহিংসতা’ হিসেবে উল্লেখ করে নিহতদের স্মরণে শোক দিবস ঘোষণা করে নিহত শহীদদের সঙ্গে তামাশা করেছে। এর প্রতিবাদে আমরা তাদের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিকে বয়কট করেছি। এখনো তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে। তাই আমাদের কর্মসূচি লাল কাপড় মুখ ও চোখে বেঁধে অনলাইন ক্যাম্পেইন করা।’
আরও পড়ুন: ফেসবুক প্রোফাইল লাল করলেন জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া