রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৭ জুলাই, ২০২৪ ১০:০১ : পূর্বাহ্ণ
সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ফেসবুক বন্ধ থাকলেও অনেকে এখন বিকল্প উপায়ে ভিপিএন এর মাধ্যমে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে গত ১৭ জুলাই সংঘাত-সংঘর্ষ চলাকালে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। ৫ দিন পর সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করে সরকার।
কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখনও বন্ধ আছে। কবে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এখনো ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি দেখছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা খেয়াল করছি যে, এই মুহূর্তে কিছু সামাজিক মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব তারা যেহেতু আমাদের বাংলাদেশের আইনকে কোনোভাবে মানছে না, আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা কোনো কিছুকেই তারা সম্মান দেখাচ্ছে না এবং তারা তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইন, প্রাইভেসি সেটিংস নিজেরাই ভঙ্গ করছে, তো এই মুহূর্তে আমরা এই ঝুঁকিটা কীভাবে নেবো?
তবে বিস্ময়কর বিষয় হলো, ফেসবুক বন্ধের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করছেন!
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ একটি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক বন্ধ করতে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন অথচ তিনি এই মাধ্যমে দু’দিন ধরে পোস্ট করেছেন। আর বিপাকে পড়েছেন দেশের সব মানুষ। এ কেমন আচরণ?’
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করার কথা বলা হলেও আগের মতো গতি না পাওয়ার কথা বলছেন গ্রাহকরা।
মোবাইল ফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সীমিত পরিসরে যা চালু হয়েছে তা ন্যারো ব্যান্ড। এটিকে কোনোভাবেই ব্রডব্যান্ড বলা যাবে না।
এদিকে, মোবাইল অপারেটররা জানিয়েছেন, তারা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা পেলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফরম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশ জুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে পরদিন রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেয় সরকার।
আরও পড়ুন: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক বন্ধ