রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই ২০২৪, ৩:৩১ অপরাহ্ণ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধুমাত্র ছয় জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীকে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করলো, অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধুমাত্র ছয় জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে, যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ারই নামান্তর।’
এ সময় তিনি পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আড়াল করতে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে সানিয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএনপি জড়িত না দাবি করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দোষারোপ করছে।’
মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রাখেন, ‘যদি তাই হয়, তাহলে তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়।’
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত ২০১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) ৬ জন, ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ৪১, শুক্রবার ৮৪, শনিবার ৩৮, রোববার ২১, সোমবার ৫, মঙ্গলবার ৩ ও গতকাল ৪ জনের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, সোম, মঙ্গলবার ও বুধবার মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বেওয়ারিশ হিসেবে ২১ লাশ দাফন