রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ জুলাই, ২০২৪ ৯:৩০ : পূর্বাহ্ণ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিসংতা ও সংঘাতের পর চলমান কারফিউ শিথিল করেছে সরকার। চলমান কারফিউয়ের মধ্যে আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর সড়কে সীমিত পরিসরে যানবাহন ও মানুষের চলাচল দেখা গেছে। কারফিউতে রাজধানীর মোহম্মদপুর, আসাদগেট, ফার্মগেট, খামারবাড়ি ও কাওরান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গতকাল সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু হয়েছে। কারফিউ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা শিথিল করে আজ খুলছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। অফিস চলবে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ায় সড়কে যানবাহন ও অফিসগামী মানুষ বের হয়েছে। এছাড়াও অনেকে ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছেন।
সড়কের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে। আসাদ গেট পেরিয়ে আড়ং পর্যন্ত এবং অন্যদিকে খামারবাড়িতে সেনাবাহিনীর টহল রয়েছে।
রাজধানীর ফার্মগেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন মো. সাজু হোসেন। মিরপুর থেকে এসেছেন যাবেন সেন্ট্রাল হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘কারফিউয়ের জন্য কয়েকদিন ধরে বের হতে পারিনি। আজ বের হয়েছি। তবে যানবাহন কম থাকায় সিএনজি ও রিকশায় বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।’
সড়কে যানবাহন চললেও মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। গতকয়েকদিনে চলা সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেট্রোরেল।
কয়েকদিন পর কর্মস্থলে ফিরছিলেন মো. জসিম উদ্দিন। রাজধানীর তেজগাঁয়ে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘চিটাগাং রোড থেকে আসছি। সড়কে যান কম থাকায় একটু বেশি ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে।’
এদিকে কারফিউ শিথিল হওয়ার পর এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ার সংলগ্ন সড়কে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৯৭ জন নিহত হয়েছেন। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর গত শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। একইদিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী নামানো হয়।
আরও পড়ুন: ১৬ জুলাই থেকে যা যা ঘটেছে দেশে