রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ জুলাই, ২০২৪ ২:১১ : অপরাহ্ণ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘এই যুগের রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
কোটাবিরোধীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যাদের মুখ থেকে বের হয়, আমি রাজাকার, তারা প্রমাণ করছে তারা এ-যুগের সাচ্চা রাজাকার! যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্মপরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘রাজাকার’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।’
গতকাল রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
কোটাবিরোধীদের উদ্দেশে নওফেল বলেন, ‘এরা আদালত মানে না, সরকারও মানে না, সুতরাং, এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের পক্ষে এই রাষ্ট্রকে মানা সম্ভব না! সঠিক স্লোগানই ধরেছে তারা! বের হয়ে আসুক এ যুগের রাজাকারদের আসল চেহারা!’
আজ সোমবার অপর এক পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার। এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না, এবং সর্বোপরি এই দেশকেই মানে না!’
নওফেল আরও লিখেন, ‘ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই যুগের রাজাকারেরা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার আগেও ছিল এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনও আছে! ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০% শতাংশ ভোট পড়েছিল নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগণ্যই থাকবে!’
ফেসবুক পোস্টে নওফেল আরও বলেন, ‘এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ঐ যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মাঝরাতে উত্তাল বিভিন্ন ক্যাম্পাস