রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:৪৫ : পূর্বাহ্ণ
‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোটা পাবে না, তো কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মাঝরাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ফুঁসে উঠেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অবমাননা করা হয়েছে।
আজ রোববার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। গভীর রাতে হল থেকে বের হয়েছেন ছাত্রীরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়েছেন। এসময় তারা বিজয় একাত্তর হলে ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢুকে সমর্থকদের নিয়ে আসে। রাত ১১টার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে টিএসসিতে গিয়ে সমবেত হন।
শিক্ষার্থীরা স্লোগান তুলেছেন-‘তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার’, ‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘এই বাংলার মাটি, রাজাকারের ঘাঁটি’ ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আন্দোলনকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। এর প্রতিবাদেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
ছাত্রলীগের ৪ নেতার পদত্যাগ
এদিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতা পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের গণ যোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক মাছুম শাহরিয়ার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা উপ সম্পাদক রাতুল আহমেদ শ্রাবণ এবং কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগের দুই নেতা রাসেল হোসেন ও রাফিউল ইসলাম রাফি।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোটা পাবে না, তো কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?’