রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৪ জুলাই, ২০২৪ ৪:৫২ : অপরাহ্ণ
‘মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর এতো ক্ষোভ কেন-এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধের কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?’
আজ রোববার বিকেলে গণভবনে সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধার এক নাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটাতে। সেও বলে, কোটা থাকবে না। তো ব্যাটা, তুমি তাহলে চলে আসো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তোমার ভর্তি হতে হবে না। এক বিচিত্র দেশ আমাদের, বিচিত্র মানসিকতা!’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা সংস্কার প্রশ্নে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত সরকারের কিছু করার নেই। এ বিষয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে জানমালের ক্ষতি হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে, আইন মানবে না, আদালত মানবে না। সরকার কীভাবে চলে কোনো ধারণা নেই। জ্ঞান নেই। ভবিষ্যতে এরা নেতৃত্ব দেবে। পড়াশোনা করছে। ভালো রেজাল্ট করছে। কিন্তু সংবিধান কী বলে জানা উচিত। রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা হয় কোনো ধারণা আছে? আদালত সুযোগ দিয়েছে। সেখানে যাক, বলুক। না, তারা রাজপথে সমাধান করবে। আদালত যখন বলেছে, এখন আমার কিছু বলার অধিকার নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে সমাধান না আসে কিছু করার নেই।’
প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া, গাড়ি ভাঙা তখন আইন আপন গতিতে চলবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৮ শিক্ষার্থীরা কোটা নিয়ে এ ধরনের আন্দোলন করছিল। সেটা আন্দোলন তো না যেন সহিংসতা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছিল তারা। তাদের সেসব কাণ্ডে আমি বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, সব কোটা বাদ দিয়ে দিলাম। ঠিক তখনই আমি বলেছিলাম, কোটা বাদ দিলে দেখেন কী অবস্থা হয়। এখন কী অবস্থা তৈরি হয়েছে দেখেন?’
আরও পড়ুন: আজও ভাঙলো পুলিশের ব্যারিকেড, স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে প্রতিনিধি দল