রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৪ জুলাই, ২০২৪ ৬:২২ : অপরাহ্ণ
সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ দাবি জানান।
এর আগে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গভবন থেকে বের হন ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা সবাই আন্দোলনের সমন্বয়ক।
তারা বলেন, আমরা বলেছি কোটা বাতিল করে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমরা পদযাত্রা সফল করেছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, আমরা সরকার থেকে এখনো আশ্বাস পাচ্ছি না। কোটা সংস্কারের এখতিয়ার সরকারের। কিন্ত সরকার এড়িয়ে যাচ্ছে। তাই রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে আমরা চাই রাষ্ট্রপতি যেন আমাদের এক দফা দাবির বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করা হোক। আমরা চাই না কোনো কঠোর কর্মসূচি দিতে।
তারা বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবো। এই সময় পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মসূচি দেব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহবাগ থানায় হওয়া মামলা না সরানো হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পূর্বষোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বঙ্গভবন অভিমুখে শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা পুলিশী বাধার মুখে রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে স্মারকলিপি দিতে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের কাছে যান ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
এর আগে সকাল ১১ টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। দুপুর ১২টার দিকে গণপদযাত্রা নিয়ে বঙ্গভবন অভিমুখে যাত্রা করেন তারা।
সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) আইন পাশ করতে হবে-এই এক দফা দাবিতে এ গণপদযাত্রা করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রধান মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তারা।
আরও পড়ুন:
‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোটা পাবে না, তো কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?’
আজও ভাঙলো পুলিশের ব্যারিকেড, স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে প্রতিনিধি দল