রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

শাহবাগে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙলো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা


পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১১ জুলাই, ২০২৪ ৫:২৭ : অপরাহ্ণ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। শিক্ষার্থীরা আসার আগেই পুলিশ শাহবাগে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সেখানে অবস্থান নেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে আগে থেকেই শাহবাগ মোড়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সাঁজোয়াযান ও জলকামান নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে এলে সাঁজোয়াযান ও জলকামান পিছিয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা কলাভবন, ভিসি চত্বর হয়ে শাহবাগে আসেন। এ সময় মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়।

অন্যদিকে, নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের বাধায় ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দিতে পারেননি। তারা এখন ঢাকা কলেজের সামনে বিক্ষোভ করছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গত ৬ জুলাই থেকে সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে’র অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

 

গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

গতকাল বুধবার হাইকোর্টের দেওয়া সেই রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থায় থাকবে। এ বিষয়ে আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ, গুলি

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর