রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, কুমিল্লা প্রকাশের সময় :১১ জুলাই, ২০২৪ ৪:২৯ : অপরাহ্ণ
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টাকালে আন্দোলনরত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবারবিকেল সোয়া ৩টার দিকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করার জন্য ক্যাম্পাস থেকে বের হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করার জন্য ক্যাম্পাস থেকে বের হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন পৌঁছালে পুলিশ ও ডিবির প্রায় শতাধিক সদস্য শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে দেন। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়।
এরপর আবাসিক হল ও মেসের প্রায় সাত-আটশ শিক্ষার্থী এসে যুক্ত হয়ে পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মহাসড়ক অবরোধ করতে চান। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর প্রথমে লাঠিপেটা করে। এরপর শর্টগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে, যা কিছুক্ষণ পর তুমুল সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে।
পরবর্তীতে পুলিশের আঘাতে দুই সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত এখনো পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হক মারুফ বলেন, প্রতিদিন এভাবে রাস্তা ব্লক করে রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা আজ শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে এখানে এসেছি।
শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নেবো।
আরও পড়ুন: সড়ক অবরোধ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা পুলিশের