রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২ রবিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

কোটাবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ‘বাংলা ব্লকেড’


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৮ জুলাই, ২০২৪ ৪:৪৫ : অপরাহ্ণ
কোটা বাতিলের দাবিতে আজ বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
Rajnitisangbad Facebook Page

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিত অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড়, সায়েন্সল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করেছেন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী।

আজ সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে থেকে একদল শিক্ষার্থী সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে রাস্তা অবরোধ করেন। এর কিছু সময় পরে শিক্ষার্থীদের আরেকটি মিছিল টিএসসি থেকে শাহবাগ মোড় এসে সড়ক অবরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড এবং ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

শিক্ষার্থীদেরকে ‘চাকরি তার, মেধা যার’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’সহ সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের বর্তমানে একটাই দাবি-সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

 

গত ৬ জুলাই শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন। যাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ হিসেবে ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে’র অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।

আরও পড়ুন: কোটা বাতিল আন্দোলন: এক দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর