রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :৮ জুলাই, ২০২৪ ১০:১৭ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) দুজন উপপরিচালক ও গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছেন-বিপিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর, জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, বিপিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক খলিলুর রহমান এবং আরেক সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। বাকিরা হলেন, নোমান সিদ্দিকী, আবু সোলায়মান মো. সোহেল, প্রিয়নাথ রায়, জাহিদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মামুনুর রশীদ, নিয়ামুল হাসান, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন ও লিটন সরকার।
লাখো চাকরিপ্রার্থীর ভরসার প্রতীক বিপিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির খবর শিউরে ওঠার মতোই।
বিপিএসসির কতিপয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিসিএসসহ অন্তত ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি। চাকরি পেয়েছে বহু অযোগ্য প্রার্থী। ফলে প্রজাতন্ত্রের কাজে দক্ষ ও উপযুক্ত কর্মচারী নিয়োগের যে উদ্দেশে গঠিত হয়েছিল সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান, সেটিই এখন হুমকির মুখে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলীও। বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠতো এই সংঘবদ্ধ চক্রটি।
এদের মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের নাম প্রচারের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী একজন ড্রাইভার হলেও তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য সামনে আসছে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। ছেলে ছাত্রলীগ নেতা, পড়েছেন বিদেশে, এরপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ভেতর তার দুইটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান রয়েছে এমন তথ্যও সামনে আসছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৈয়দ আবেদ আলীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল ঘেটে দেখা যায়, রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড, দান খয়রাত ও পরহেজগারির নানা খবর।
সবশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন আবেদ আলী। আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও উঠবস করতেন ।
ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জীবন মানুষকে সাহায্য করে সেই ভিডিও প্রচার করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সিয়াম চড়েন দামি গাড়িতে।
