রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৬ জুলাই, ২০২৪ ১০:২৯ : পূর্বাহ্ণ
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী সংস্কারবাদী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান জয়লাভ করেছেন। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আশীর্বাদপুষ্ট রক্ষণশীল সাঈদ জালিলিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটি ৭০ লাখ এবং তার রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জালিলি এক কোটি ৪০ লাখ ভোট পেয়েছেন বলে বেসরকারিভাবে জানা গেছে।
জানা গেছে, এবারে ভোটারের উপস্থিতিও বেশি ছিল। প্রায় ৫০ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর আগে ২৮ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৪০ ভাগ।
ভোট প্রদানের সময়সূচি শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয়।
গত ২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে কেউ এককভাবে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়।
২৮ জুনের নির্বাচনে ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটার ভোট দেন। এরমধ্যে সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেশকিয়ান পান এক কোটি ৪ লাখ ভোট। অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক ও বিপ্লবের মূলনীতির অনুসারী সাঈদ জালিলি পান ৯৪ লাখ ভোট।
মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদরোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাকে সমর্থন দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মাসুদের সমর্থকরা ইরানজুড়ে বিভিন্ন রাস্তায় নেচে উদযাপন করছেন।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর গত ২৮ জুন দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থীই এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।
প্রথম দফার ভোটে পেজেশকিয়ান প্রায় ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন। তবে তা ম্যাজিক সংখ্যা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পূর্ণ জয় থেকে বাদ পড়েছিলেন। অন্যদিকে প্রায় ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন জালিলি।