সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা রাজধানী

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল থাকায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা, উত্তাল শাহবাগ


রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ জুলাই, ২০২৪ ১:২৪ : অপরাহ্ণ

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। এরপর তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

এর আগে আজ সকালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কিন্তু সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩ম গ্রেডে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুরোপুরি বাতিল করা না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।

 

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটা বাতিল মীমাংসিত ইস্যু। নতুন করে কোটা ফিরিয়ে আনা ছাত্র সমাজের সঙ্গে তামাশা। কোনো ভাবেই বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি মেনে নেওয়া হবে না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র সারজিস আলম ঘোষণা দেন, ‘আমরা আজকে আধা ঘণ্টার জন্য আসিনি। আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়বো না।’

গত দুদিনও কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে মিছিলের পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থীরা। মিছিল থেকে ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অবরোধে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

এর আগে কোটা বাতিলের আন্দোলনে যেতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে বের হয়ে পড়েন। এসময় শত শত শিক্ষার্থী হল থেকেই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহবাগে গিয়ে মূল আন্দোলনে যোগ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষণ করা হতো। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ছিল ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ কোটা।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় আপাতত বহাল

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর