শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ | ২১ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২৮ জিলহজ, ১৪৪৫

মূলপাতা শিক্ষা

অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চায় ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩ জুলাই, ২০২৪ ২:০২ : অপরাহ্ণ
তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর মন্তব্যের জেরে আজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’। তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা।

আজ বুধবার টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ১০টা থেকেই সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

এ সময় অর্থমন্ত্রীর নামে ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ স্লোগান দেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমরা শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ লাখ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছে। সেই ৩৫ লাখ গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অর্থমন্ত্রীও একজন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পাস করেছেন। শুনেছি তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবেও জয়েন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ লাখ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছে, তারা আমাদের গর্ব। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর মতো এমন ‘অথর্ব’ গ্র্যাজুয়েট দিয়ে আমরা কী করবো?’

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয় কর্মসূচি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। প্রত্যয় কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সুবিধা কমবে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খণ্ডন করে এই ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।’

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, ‘এমন কোনো শক্তি নেই যে আমাদের এই আন্দোলন থামাতে পারে। অর্থমন্ত্রী আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি প্রত্যয় স্কিম নামে আপনার যে একটা ভুয়া স্কিম আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন সেটি প্রত্যাখ্যান করুন। তা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য (বিশ্ববিদ্যালয়ের) কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে আপনার অবস্থানচ্যুতি ঘটতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এমন ষড়যন্ত্র করে যারা পরিস্থিতিকে যারা উত্তপ্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

 

বক্তারা আরও বলেন, ‘যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলার দুঃসাহস দেখায়, তার কোনোভাবেই যোগ্যতা এবং ক্ষমতা নেই গদিতে থাকার। প্রিয় নেত্রী, আপনি যখন বন্দি ছিলেন, আপনাকে মুক্ত করতে সর্বপ্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারীরাই রাজপথ রঞ্জিত করেছিলেন। আপনাকে মেসেজ দিতে চাই, আগামীতে যদি কোনো লড়াই-সংগ্রামে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাশে চান, তাহলে অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী আবুলকে সরিয়ে আমাদের যে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি সেটি মেনে নিন।’

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয় কর্মসূচি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। প্রত্যয় কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সুবিধা কমবে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খণ্ডন করে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর