রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ জুলাই, ২০২৪ ৩:০৩ : অপরাহ্ণ
আইন অনুযায়ী প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তির হিসাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সম্পত্তির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল বিষয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনারি করেন রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের আগে হাইকোর্টের বিচারক বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তাতে বিস্মিত হয়ে পড়ছি আমরা। দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়, তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতেই হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।’
হাইকোর্টের বিচারক আরও বলেন, ‘সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়; সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।’
শুনানিতে রিটের পক্ষের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের ৪৩ শতাংশ টাকা যেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনে যাচ্ছে, সেখানে তাদের সম্পত্তির হিসাব কেন প্রকাশিত হবে না? আর পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সম্পত্তি আর রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয় যদি সামনে আসে, তাহলে তিনি কি রক্ষা করবেন? তার সম্পত্তি নাকি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব?’
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা উচিত। আমরাও তা চাই।’
এর আগে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের এ বেঞ্চে দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পত্তির হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করেন তিনি।