শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা শিক্ষা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাল থেকে কর্মবিরতি


সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ফাইল ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ জুন, ২০২৪ ৪:৪১ : অপরাহ্ণ

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ কে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতির মোর্চা-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূইয়া।

নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, দাবি পূরণ না হলে তাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।

অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
একই দাবিতে আজ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এতো দিন কর্মবিরতিতে পরীক্ষা এর আওতার বাইরে ছিল। কিন্তু কাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ দাপ্তরিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষকেরা।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দাবি হলো তিনটি। এগুলো হলো প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি শুধু প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল।

 

এর আগে আজ সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ সকাল থেকেই এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আজ সারাদিন জরুরি কাজ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে।

সকাল ১০টা থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মবিরতির সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে মিছিল করেন তারা। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে আসেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা অবস্থান, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এরপরও দাবি না মানা হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ আয়োজন করে।

অবস্থানের সময় কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের হাতে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘বৈষম্যের প্রজ্ঞাপন বাতিল করো করতে হবে’, ‘সর্বজনীন পেনশন, মানি না মানবো না’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, প্রত্যয়ের ঠাঁই নাই’, ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। পাশাপাশি তারা একই কথাগুলো উল্লেখ করে স্লোগানও দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সব শ্রেণির কর্মচারীর মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, তা সবকিছুকে বাজে পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। এমন একটি বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছে তা কেবল আমাদের যৌক্তিক দাবি তথা প্রত্যয় স্কিম বাতিলের মধ্য দিয়েই নিরসন সম্ভব।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর