বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

আদানির কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ


ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ জুন, ২০২৪ ৯:০৮ : অপরাহ্ণ

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে। হঠাৎ এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সদস্য (জেনারেশন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেতো। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। পুনরায় কবে উৎপাদন শুরু হতে পারে, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

 

পিডিবির সদস্য খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, আদানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা প্ল্যান্টের বয়লারে পানি সঞ্চালন পাম্পের একটি ভাল্বে বড় ধরনের ফুটো খুঁজে পাওয়ার পর ওই ইউনিটটি বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে বয়লার ঠাণ্ডা করে মেরামত শুরু করতেই তাদের কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যাবে।

এর আগে ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। দুটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদনসক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে। হঠাৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়। তবে আজ শনিবার বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কমে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের ৯ মার্চ। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।

আদানির বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়া নিয়ে তখন দেশে বির্তক সৃষ্টি হয়। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ২৫ টাকার বেশি। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া রয়েছে ৫ টাকা ১১ পয়সা। বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে এতো বেশি দামে কেন্দ্র ভাড়া দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আদানিকে কয়লার সিস্টেম লসসহ বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা আর কাউকে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: দাম নিয়ে বিতর্কের মধ্যে দেশে আসলো আদানির বিদ্যুৎ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর