শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেলো বাংলাদেশ


আইএমএফ

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ জুন, ২০২৪ ১১:০৩ : অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাবদ ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার আজ বৃহস্পতিবার রাতে ছাড় করা হয়েছে। ওই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যোগ হয়েছে। ফলে নিট রিজার্ভ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। তাতে রিজার্ভের পরিমাণও বেড়েছে।

 

বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি বা সাড়ে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে ছিল। গত মে মাসে এ রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে গিয়েছিল।

আইএমএফের ঋণের অর্থ ছাড় করার আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার। এক সপ্তাহ আগে গত ২০ জুন ছিল ১ হাজার ৯৫৩ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৬ কোটি ডলার। তবে আইএমএফের কিস্তি যোগ হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে গেছে।

এদিকে আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ প্রায় ১৩০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। তখন আবার রিজার্ভ কমে যাবে।

গত সোমবার আইএমএফের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার অনুমোদন করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

এর আগে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় করা হলো। তিন কিস্তিতে আইএমএফের ঋণ বাবদ বাংলাদেশ পেল ২৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের মূল্যায়ন করতে আগামী নভেম্বরে আইএমএফ মিশন আবার বাংলাদেশে আসবে। শর্ত বাস্তবায়ন ও সংস্কারের অগ্রগতিতে তারা সন্তুষ্ট হলে ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশকে আরও বেশ কিছু কঠিন শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। ওই আবেদনের ছয় মাস পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ।

ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানায়, শর্তপূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের এ অর্থ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে তিনটি কিস্তি পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিল আইএমএফ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর