শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জামায়াতে ইসলামী

শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন: জামায়াত



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ জুন, ২০২৪ ৭:১১ : অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তাসহ ভারত-বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি সম্প্রতি ভারত সফরকালে ভারতের সাথে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে, তাতে তিস্তাসহ ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যর্থতা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

 

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য পাওনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার। এ অধিকারের সাথে আমাদের অস্তিত্ব তথা কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত। বাংলাদেশ সরকার অনির্বাচিত হওয়ার কারণেই অভিন্ন নদীর পানির বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে দরকষাকষিতে বারবার নতজানু নীতি ও দুর্বলতা প্রকাশ করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনীহার কারণেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না।

গোলাম পরওয়ার বলেন, তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের পানি সংরক্ষণের যে প্রস্তাব ভারত দিয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে অবিলম্বে ভারতের নিকট বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদ জানানো উচিত। পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকা অঞ্চলের বৃহত্তর সিলেটের উজানের অভিন্ন নদীগুলোর উপর ভারতের বাঁধ নির্মাণের কারণে প্রতি বছরই সিলেট অঞ্চলে বন্যায় হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। অথচ এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাথে কোন কথাই বলেননি। এ ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট অভিমত হলো, ভারত-বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যাসহ আমাদের ন্যায্য দাবিসমূহ আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভারতকে ট্রানজিটসহ যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছে তা বন্ধ রাখতে হবে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে আরো লক্ষ্য করছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলিকাতা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন সার্ভিস ও কলিকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালুর জন্য ভারতের সাথে যে চুক্তি করেছেন তাতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন করেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা প্রতিবারই প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে ভারতের হস্তক্ষেপে বারবার ক্ষমতায় আসে। ফলে জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগ সরকারকে বরাবরই ভারতকে তুষ্ট করে ক্ষমতায় থাকতে হয়। প্রধানমন্ত্রী যখনই ভারতে যান, তখন শুধু দিয়েই আসেন; কিছুই আনতে পারেন না। এটা তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফসল।

আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদি বৈঠক: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ সমঝোতা স্মারক সই

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর