বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা খেলা

বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে সেমিফাইনালের পথে ভারত


বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে সেমিফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখলো ভারত।

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ জুন, ২০২৪ ১২:০২ : পূর্বাহ্ণ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের শুরুটা ছিল হতাশায় মোড়ানো। ফলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে ওঠে বাঁচা-মরার। এমন কঠিন ম্যাচে বল হাতে খেই হারান মুস্তাফিজরা। দেদারসে রান বিলিয়ে ভারতকে তুলে দেন রানের পাহাড়ে। যা টপকে জয় তো দূরে, কাছাকাছিও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলাফলা, আরেকটি পরাজয়। বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে সেমিফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখলো ভারত।

আজ শনিবার অ্যান্টিগায় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৯৬ রান তুলে ভারত। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এতে রানের ৫০ জয় পায় ভারত।

ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকেই নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয় বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নেবার সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও নেননি নাজমুল শান্ত। এরপর একাদশও সাজায় একজন কম বোলার নিয়ে। দলের মূল বোলার তাসকিন আহমেদকে বাইরে রেখেই শুরু হয় ভারত অভিযান।

ফলাফল আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত দাঁড় করায় ১৯৬ রানের বিশাল পুঁজি। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি মিলে শুরুর জুটিতেই তোলেন ৩৯ রান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসান এসে ভাঙেন এই জুটি। চতুর্থ বলে জাকেরের হাতে রোহিতকে ক্যাচ বানান সাকিব। এক ছক্কা ও তিন চারে ১১ বলে ২৩ রান করে থামেন ভারতীয় অধিনায়ক। উইকেটটি নিয়ে প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন সাকিব।

আরেক ওপেনার বিরাট কোহলিও চড়াও হন পাওয়ার প্লেতে। জমে ওঠা এই ব্যাটারের প্রতিরোধ ভাঙেন তানজিম সাকিব। এক ওভারে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি। তানজিমের স্লোয়ার ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে মারার চেষ্টায় বোল্ড হন কোহলি। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৭ রানে শেষ হয় তার ইনিংস।

এরপর উইকেটে আসা সূর্যকুমার যাদব এক ছক্কায় শুরু করেন ইনিংস। পরের বলেই তাকে মাঠছাড়া করেন তানজিম। ওয়ানডাউনে নামা পন্থের ঝড় থামান রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে তানজিমের হাতে ক্যাচ দেন পন্থ। ২৪ বলে ৩৬ রান করে থামে তার প্রতিরোধ।

ঝড়ো শুরু করা ভারতের মাঝপথে রানের গতি কিছুটা কমে। বোলিং দিয়ে বাংলাদেশও নাগালে রাখার চেষ্টা করে। তবে, সেই চেষ্টা বৃথা করে হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবাম দুবে মিলে ভারতকে এনে দেন শক্ত পুঁজি। এ দুজন মিলে ৩৪ বলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫৩ রান। ২৪ বলে ৩৪ রান করে দুবে সাজঘরে ফেরার পর বাকি কাজটুকু করেছেন পান্ডিয়া।

৪ চার আর ৩ ছয়ে পান্ডিয়ার ৫০ রানের ইনিংসের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ৪৩ রান খরচায় রিশাদের শিকারও দুটি। সাকিব আল হাসান নেন একটি।

রান তাড়ায় বাংলাদেশের ইনংসের শুরুটা ছিল সাবধানী। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম মিলে শুরু করেন দেখেশুনে। কিন্তু দুজন পারলেন না ইনিংস এগিয়ে নিতে। হার্দিক পান্ডিয়ার ওভারে ছক্কা হাঁকিয়েই অক্কা লিটন। পান্ডিয়ার স্লোয়ার ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন (১৩)।

পরের ধাক্কা দেন কুলদিপ যাদব। এক ওভারেই তুলে নেন জোড়া শিকার। কুলদিপের গুগলিতে এলবিডব্লিউ হন তানজিদ। ফেরেন ৩১ বলে ২৯ রান করে।

তাওহিদও পড়েন কুলদিপের ফাঁদে। এরপর উইকেটে আসা সাকিব আল হাসানকেও নিজের শিকার বানান এই ভারতীয় স্পিনার। একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে শান্ত টিকে ছিলেন। তবে, তার ব্যাটিং জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৩২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারলো না বাংলাদেশ

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর