রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

মিয়ানমার থেকে আর গুলি আসলে পাল্টা গুলি চালাবো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ জুন, ২০২৪ ৪:২৭ : অপরাহ্ণ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘মিয়ানমার আর্মি ও আরাকান আর্মিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে বাংলাদেশের দিকে আর গুলি না চালায়। তা নাহলে আমরাও পাল্টা গুলি চালাবো।’

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মিয়ানমারে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আমরা যতদূর শুনেছি আরাকান রাজ্যে আরাকান আর্মি অনেক এলাকা দখল করে নিয়েছে। সেজন্য মিয়ানমারের যে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) তারা আত্মরক্ষার্থে আমাদের এলাকায় পালিয়ে আসছে। কাজেই সেখানকার অবস্থা কী, সেটা আমরা বলতে পারবো না। তবে এটুকু বলতে পারি, তারা মাঝে মাঝে ভুল করে আমাদের বিজিবির দলের ওপর গুলি করেছিল। তারা যেটা বলছে, সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের পতাকা যেন উড়িয়ে যায়, তাহলে আর কেউ গুলি করবে না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে হলে, আমাদের এলাকায় নাফ নদী, কিছু নাব্য হারিয়েছে। কাজেই সেখান দিয়ে আমাদের নৌ চলাচল করতে পারে না। মিয়ানমারের অংশ দিয়ে যেতে হয়। যে কারণে এই বিপত্তিটা ঘটেছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘কখনো মিয়ানমার আর্মি, কখনো আরাকান আর্মি ফায়ার ওপেন করে। আমরা উভয়কেই বলে দিয়েছি তারা যদি গুলি করে আমরাও পাল্টা গুলি করবো। ওখানে থেকে আর কোনো গোলাগুলি হচ্ছে না। এখানে মিয়ানমারের যে দুটি জাহাজ ছিল সেগুলো ফেরত নিয়ে গেছে। আমরা আশা করছি সেখানে আর গুলি হবে না। তারপরও আমাদের যারা ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন, তারা সাবধানতা অবলম্বন করবেন।’

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনগামী স্পিড বোটে মিয়ানমার থেকে গুলি, দ্বীপজুড়ে আতঙ্ক

বেনজীর আহমেদ ও আছাদুজ্জামান মিয়ার প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যখন অবসরে যাচ্ছেন, তখন তাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনি দায় এড়াতে পারেন কিনা?

এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান মিয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি এখন পর্যন্ত অনুমানভিত্তিক কথাবার্তা চলছে। সুনির্দিষ্টভাবে এখনো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। যেগুলো শুনছি তার এতগুলো সম্পদ আছে। কিন্তু তাকে তো এখনও ডাকা হয়নি। তাকে ডাকা হলে তখন বুঝতে পারবো। নিশ্চয়ই তার কোনও জবাব আছে। নিশ্চয়ই তার কোনো আয়ের সোর্স আছে। না হলে সে কি এরকম অপকর্ম করবে? এটা তো তাকে সুযোগ দিতে হবে তার বক্তব্য জানার জন্য। সুযোগ পেলে অবশ্যই সে বলবে তার সম্পদ কতখানি বৈধ, কতখানি অবৈধ। বৈধভাবে সে কতখানি সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।’

আরও পড়ুন: বিপুল সম্পদের খবর প্রকাশের পর দেশ ছাড়লেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘একটা কথা বলতেই হয় আজ থেকে ১০ বছর আগে যে জমির মূল্য ১০ লাখ ছিল সেই জমির মূল্য এখন ২ কোটি টাকা হয়ে গেছে। এভাবে অনেকের সম্পদ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক কিছুই হতে পারে। সেজন্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, তাকে তার উত্তর দিতে হবে। সে যদি জবাব দিতে পারে তাহলে তো আপনাদের এসব প্রশ্নের মিটমাট হয়ে যায়। যদি জবাব দিতে না পারে তাহলে আমরা বলতে পারবো তিনি দুর্নীতিবাজ। তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এর আগে এসব বলার সুযোগ নেই। নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তাদের কিছু বলার আছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ মিশনে বিদেশে অনেকদিন ছিলেন। সেগুলো আপনাদের জানা দরকার। মিশন থেকে সে কত টাকা এনেছে সেগুলো তাকে বলতে হবে। সেই টাকা কত বৃদ্ধি পেয়েছে তিনি জানেন, আমরা কিন্তু জানি না। তার জবাব দেওয়ার আগে আমাদের এসব নিয়ে বলা উচিত না। তিনি অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা নেবে।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর