রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ জুন, ২০২৪ ১:১৫ : অপরাহ্ণ
সেন্টমার্টিন নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘তারা (সরকার) যাই বলুক না কেন সেন্টমার্টিনে গোলাগুলি হচ্ছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন সমস্ত জাহাজ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে যেতে পারছে না। এটাই সত্য। তারা এই সত্যকে অস্বীকার করবে কীভাবে? গোলাগুলি না হলে সেন্টমার্টিনে বারবার বিজিবি কেন যাচ্ছে? কেন সেনাবাহিনীর প্রধান বারবার বলছেন আমরা সতর্ক আছি।’
আজ সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। কারণ তার কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে গুলি করেছে আরাকান আর্মি, মিয়ানমার সরকার নয়: কাদের
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা যদি সত্যকে উপলব্ধি করতে না পারেন, দেশের সমস্যা ও গণমানুষের আকাঙক্ষা বুঝতে না পারেন, তাহলে তারা কীভাবে দেশ শাসন করবে? । সেটি আমরা দেড় যুগ ধরে দেখছি। এই দখলদার সরকার জনগণের সব আকাঙক্ষাগুলোকে পদদলিত করে দিয়েছে। ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার পদদলিত করে তারা আজকে জোর করে শাসন চাপিয়ে দিয়েছে। সুতরাং তাদের কথার উত্তর দিতে আমরা ইচ্ছা করে না। কারণ জনগণ তাদের পছন্দ করে না। জনগণ তাদের ঘৃণা করতে শুরু করেছে। তারা শুধু মিথ্যা কথা বলে জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছেন। এজন্য আমি তাদের খুব বেশি গুরুত্ব দিই না।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে বিজিবি মহাপরিচালক, সদস্যদের যে বার্তা দিলেন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ঈদুল আজহার যে আনন্দ, সেই আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ থাকছে না।’
সম্প্রতি সংলাপ সম্পর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংলাপটা হবে কার সঙ্গে? সংলাপের উদ্যোগ নেবে কে? নির্বাচন কমিশন তো বলবে আমার কোনো ক্ষমতা নেই; এখন নির্বাচন কমিশনার সংলাপ নিয়ে কথা বললে তো হবে না, যার ক্ষমতা আছে, যারা ক্ষমতাকে দখল করেছে তাদেরকে সংলাপের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।’