রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ প্রকাশের সময় :১৭ জুন, ২০২৪ ১২:৩১ : অপরাহ্ণ
পৌনে তিনশ বছরের প্রাচীন কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাত। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ এই ঈদ জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নেয়।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন জেলা মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা হিফজুর রহমান খান।
এর আগে সুদীর্ঘকালের ঐহিত্য অনুসারে জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ শটগানের তিনটি গুলি ছোঁড়েন। পরে জামাত শুরুর ১০ মিনিট আগে আরো দুটি এবং পাঁচ মিনিট আগে আরো একটি গুলি ছোঁড়া হয়।
ঈদ জামাতে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিশিষ্টজনরা ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হেফাজত কামনাসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
এর আগে সকাল থেকেই মুসল্লিরা আসতে থাকেন ঈদগাহে। বড় জামাতে নামাজ আদায় করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়-তাই এখানে প্রতি বছর ঈদের জামাতে অংশ নেয় হাজার হাজার মুসল্লি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ছিল শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল নামে দু’টি ট্রেন, যা চলে ভৈরব-ময়মনসিংহ রোডে।
জনশ্রুতি রয়েছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।
শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, মাইনোকোলার, সিসি ক্যামেরাসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এছাড়াও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল।