মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪ | ৪ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১১ জিলহজ, ১৪৪৫

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

আক্রমণ করলে আমরাও জবাব দেবো, সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ জুন, ২০২৪ ২:৩১ : অপরাহ্ণ
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
Rajnitisangbad Facebook Page

সেন্টমার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে কোনো ধরনের হামলা হলে সরকার কাউকে ছেড়ে দেবে না। আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব দেবো। আমরা প্রস্তুত আছি।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি না-গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন। সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেন-কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উসকানি না দেই। উসকানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি।’

আরও পড়ুন: পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে: শেখ হাসিনা

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কিছু সংঘাতের বিষয় আছে। ওখানে ৫৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এদের একের সঙ্গে অন্যের মিল নাই। বিশেষ করে রাখাইন এলাকার বিদ্রোহীরা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করে যাচ্ছে। ওদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জন্য আমরা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হই, সেটা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

আরও পড়ুন: সাগরে মিয়ানমারের ৩ যুদ্ধজাহাজ, সেন্টমার্টিনে আতঙ্ক

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলাপ-আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আমরা কথা বলতে পারি। যতক্ষণ কথা বলা যাবে, আলাপ-আলোচনা করা যাবে, উই আর নট ইন গুড টিউনস-এমন পর্যায়ে না গেলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং করে যাব। আমাদের যুদ্ধ পরিহার করতে হবে। আমাদের কোনো উসকানি যেন যুদ্ধের কারণ না হয়।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে গত এক মাস টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকা মোটামুটি শান্তই ছিল। কিন্তু ৫, ৮ এবং ১১ জুন নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমারের অংশ থেকে সেন্টমার্টিনগামী নৌযানে গুলি করা হয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সঙ্গে টেকনাফ ও কক্সবাজারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

এর মধ্যে গত বুধবার দুপুরে নাফ নদীতে দেখা মিলে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ। এরপর রাত থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপসহ আশপাশের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ওপার হতে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়।

পরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় বৃহস্পতিবার থেকে বিকল্প পথে যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল শুক্রবার খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে জাহাজ পাঠানো হয়েছে সেন্টমার্টিনে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর