রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রকাশের সময় : ১১ জুন ২০২৪, ৩:২৪ অপরাহ্ণ
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে একটি স্পিড বোটকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। টানা ১০-১২ রাউন্ডগুলি করা হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্পিড বোটটি নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়াতে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।
গুলি করা স্পিড বোটটির মালিক সেন্টমার্টিন স্পিড বোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও দ্বীপ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম।
তিনি জানিয়েছেন, আজ সকালে এক রোগী চিকিৎসা শেষে সেন্টমার্টিন ফেরার উদ্দেশ্যে ৭ যাত্রীসহ স্পিডবোটে টেকনাফের ঘাট ছাড়ে। কিছু সময় চলার পর বঙ্গোপসাগরে পৌঁছালে ওই নৌপথে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়া হয়। পরে তারা আবার ঘাটে ফিরে এসে পশ্চিম বঙ্গোপসাগর দিয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, বিষয়টি সব পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবিই খারাপ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্বীপে অবস্থানরত মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে। ওই এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, টেকনাফের নাফনদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাটি নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমারে অবস্থানরত অস্ত্রধারীরা সেন্টমার্টিনগামী ট্রলার বা স্পিড বোট দেখলেই গুলি করে। এতে দ্বীপজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেন্টমাটিন-টেকনাফ যাত্রী ও পণ্যবাহী সব নৌযান চলাচল বন্ধ। যার কারণে দৈনন্দিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সংকট হতে শুরু করেছে। এটার সমাধান না হলে দ্বীপবাসীর অবস্থা খুব সংকটাপন্ন হবে।
এর আগে গত ৮ জুন টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে পণ্যবাহী একটি ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হয়। এতে কোনো হতাহত হয়নি। তবে ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লাগে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে সেন্টমার্টিনে ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি