শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা খেলা

তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশের, দক্ষিণ আফ্রিকার অবিশ্বাস্য জয়



স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ জুন, ২০২৪ ১২:৪৫ : পূর্বাহ্ণ

দাপুটে বোলিংয়ে লক্ষ্যটা ছিল হাতের নাগালেই। জিততে হলে বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হতো স্রেফ ১১৩ রান। কিন্তু এই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। তীরে এসে তরী ডুবেছে বাংলাদেশের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে মাত্র ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

এই নিয়ে টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে দুই ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ দেখলো প্রথম হারের দেখা।

সোমবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

১১৩ রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদাকে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দেন তানজিদ। কিন্তু না, ওই ওভারেই হন কট বিহাইন্ড। রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ৯ রানে থামেন বাংলাদেশি ওপেনার।

এরপর ওয়ানডাউনে তিনে নামা লিটন দাসের ইনিংসও থামে ৯ রানে। সপ্তম ওভারে কেশভ মাহারাজের ডেলিভারিতে মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। এরপর উইকেটে আসা সাকিব আল হাসান আজও ব্যর্থ। নরকিয়ার বলে ৩ রানেই তিনি তুলে দেন ক্যাচ।

পজিশন বদলে আজ ওপেনিংয়ে নামেন নাজমুল শান্ত। কিন্তু পজিশন বদলালেও বদলায়নি শান্তর ব্যর্থতার চিত্র। থিতু হয়েও পারলেন না রান তুলতে। ২৩ বলে ১৪ রান করে থামে অধিনায়কের ইনিংস। চার টপ অর্ডারের বিদায়ের পর খানিকটা চাপ বাড়ে বাংলাদেশের। তবে সেই চাপটা সামলে বাংলাদেশের ঢাল হয়ে ওঠেন তাওহিদ হৃদয়।

মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ে আবারও বাংলাদেশের ভাগ্য গড়ার চেষ্টা করেন তাওহিদ। পঞ্চম উইকেটে ৪৫ রানের জুটিতে জয়ের রূপকথা প্রায় লেখার পথে ছিলেন হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু মাঝপথে ৩৭ করে তাওহিদ ফিরে গেলে শেষের ইতিটা আজ আর টানতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। ২০ রানে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নিলে বাংলাদেশও থেমে যায় ১০৯ রানে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদের গতির মুখে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম ওভারের একেবারে শেষ বলে প্রোটিয়া ওপেনার রিজা হেনড্রিকসকে এলবিডব্লিউ করেন সাকিব। তার বিদায়ে ১ ওভারে ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে তৃতীয় বলে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ওপেনার কুইন্টন ডি কককে ফেরান তানজিম সাকিব। ২.৩ ওভারে ১৯ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় ১৮ রান করে ফেরেন ডি কক।

চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে ফেরান বাংলাদেশ দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ।মার্করাম ৮ বলে ৪ রান করে ফেরেন।

এরপর প্রোটিয়া শিবিরে ফের আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ট্রিস্টান স্টাবস। ৫ বলে শূন্যরানে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ে ৪.২ ওভারে মাত্র ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলায় ফেরান ডেভিড মিলার ও হেনরি ক্লেসেন। মিডল অর্ডার এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন। তাদের সেই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।

তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৪৪ বলে দুই চার আর তিন ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন হেনরি ক্লেসেন।

এরপর মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। তাকে বোল্ড করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ২৯ রান করেন ডেভিড মিলার।

ব্যাটিং বিপর্যয়ের ম্যাচে হেনরি ক্লেসেন ও ডেভিড মিলারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।৪ ওভারে ৩২ রানে এক উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর