রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ জুন, ২০২৪ ৪:৪৪ : অপরাহ্ণ
বাজেট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যাংকে আনার ব্যবস্থা করছি। ব্যাংকে আসলে করের সুবিধা আরও বাড়বে। এখন সিপিডি কী বললো, টিআইবি কী বললো, সুজন কী বললো-এসব নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। ওরা সবাই বিএনপির সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলে। কথার সঙ্গে তাদের বাস্তব কর্মকাণ্ডে মিল নেই।’
আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, এবারের বাজেটে সরকার মুনশিয়ানা দেখাতে পারেনি। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সিপিডির এমন বক্তব্যর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী দাবি করেন, এই বাজেট পরিমিত বাস্তবসম্মত ও গণমুখী ও সাহসী। আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বাজেটকে স্বাগত জানাচ্ছি।দেশের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ প্রস্তাবিত বাজেটকে সমর্থন জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শাসনামলের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আজকে বড় বড় কথা বলে। অর্থবাজারের কথা বলে। কালো টাকার কথা বলে। দেশকে গিলে খাওয়ার কথা বলে। তাদের সর্বশেষ বাজেট ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তার পরও বাজেটের আগে সাইফুর রহমান সাহেবকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ফোরামে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল। আমাদের সময়ে বাজেট দেওয়া আগে কোনো অর্থমন্ত্রীকে বিদেশে গিয়ে ভিক্ষা চাইতে হয়নি। এতে বুঝতে পারেন দেশটা কোথা থেকে কোথায় আসছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগের বাজেটের চেয়ে এই বাজেটে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। উন্নত অনেক দেশও মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে ৯ শতাংশে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।’
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিজেরাই হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে বসে আরাম আয়েশে দিনযাপন করছেন। সেই টাকার হিসাব মির্জা ফখরুল সাহেবদের দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ দিতেই এই বাজেট: মির্জা ফখরুল