শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড

নেপাল থেকে সিয়ামকে দেশে ফেরানো নিয়ে যা বললেন ডিবির হারুন


ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ জুন, ২০২৪ ৭:০২ : অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়াম হোসেনকে নেপাল থেকে দেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নেপাল থেকে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নেপালে সিয়াম হোসেনের আটকের খবরে গত শুক্রবার দেশটিতে যান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নেপাল থেকে সিয়ামকে নেওয়ার জন্য ভারতও চেষ্টা করছে, তাদের কাছেও সিয়াম মোস্ট ওয়ান্টেড। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। ভারতের সঙ্গে নেপালের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘সিয়ামকে ভারত কিংবা বাংলাদেশ যাকেই দেওয়া হোক, তদন্তে কোনো দেশেরই কোনো সমস্যা হবে না। সিয়ামকে পেলে আলামত উদ্ধারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যদি একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুটি দেশ দাবি করে তবে হোস্ট কান্ট্রি হিসেবে নেপাল বিবেচনায় আনবে অপরাধের ধরনটা কী। হত্যা মামলা কোথায় সংগঠিত হয়েছে। নেপাল বিভিন্ন বিবেচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেবে সিয়ামকে কোন দেশের কাছে হস্তান্তর করবে।’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘আনার হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শাহীনকে ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১২ মে ব্যক্তিগত সফরে ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৭ মে থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন তার নিখোঁজের বিষয়ে উত্তর কলকাতার বরানগর থানায় একটি জিডি করেন সেখানকার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপর সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকায় গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির কাছে বাবার নিখোঁজের অভিযোগ দেন।

নিখোঁজের ১০ দিন পর গত ২২ মে সকালে ভারতীয় গণমাধ্যমে এমপি আনার খুন হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়। খবরে বলা হয়, এমপি আনারকে ১৩ মে রাতে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়। এরপর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করা হয়।

এমপি আনারকে হত্যার ঘটনায় ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

হত্যাকাণ্ডের বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও কলকাতা পুলিশ মরদেহের কোনো ক্লু পাচ্ছিলো না। পরে নিজেদের গ্রেপ্তার করা সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কলকাতায় পা দেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ ও তার প্রতিনিধিদল।

এরপর ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের অনুরোধে কলকাতার সিআইডি পুলিশ গত ২৮ মে সঞ্জীবা গার্ডেন্সের ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি অভিযান চালায়। অভিযানে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের টুকরো টুকরো কিছু মাংস উদ্ধার করা হয়। মরদেহের এসব মাংস এমপি আনারের বলেই ধারণা ডিবি ও পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির।

তবে সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত হতে মরদেহের মাংসগুলোর ডিএনএ ও ফরেনসিক টেস্টের প্রক্রিয়া চলছে এখন। হত্যা রহস্যের জট খুলতে আরও গভীর তদন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলো।

আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়াম নেপালে আটক

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর