বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাও



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২ জুন, ২০২৪ ১২:১১ : পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের চকবাজারে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার উধাও হয়ে গেছে। ঘটনাটি গত ২৯ মে দুপুরে ঘটলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক কেউই থানায় অভিযোগ করেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকারে রাখা স্বর্ণের মালিক নগরীর চট্টেশ্বরী সড়কের গোয়াছি বাগান এলাকার বিটিআই বেভারলি হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া আকতার।

লকার থেকে গায়েব হওয়া ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে ৪০ পিস হাতের চুড়ি (বড় সাইজ); ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের চার জোড়া অলংকার, ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরির একটি গলার চেইন। ২৮ ভরির ৭টি চেইন। ১৫ ভরির চারটি আংটি। ৩০ জোড়া কানের দুল; যার ওজন ১১ ভরি।

রোকেয়া আকতার বলেন, ‘১৬-১৭ বছর ধরে চকবাজারের ওই ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করছি; পাশাপাশি আমার নামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে এই ব্যাংকে। এর আগে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এসব স্বর্ণ সরিয়ে ফেলেছেন বলে আমি ধারণা করছি।’

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, ‘ব্যাংকটির লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।’

রোকেয়া আকতারের ছেলে চিকিৎসক রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, ‘আমার মা ২০০৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে। তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। পরে আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে স্বর্ণালঙ্কার উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানান।’

মামলা প্রসঙ্গে মারজুক বলেন, ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং চকবাজার থানার ওসি লকার রুম দেখে গেছেন। বুধবার রাতেই জিডি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওসি আমাদেরকে বলেন মামলা করতে। আমরা আমাদের পরিবারিক আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করছি। এ বিষয়ে সোমবার আদালতে অভিযোগ দায়ের করবো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। তিনি এক মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর