শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আইন-আদালত

র‌্যাবের এক কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ মে, ২০২৪ ৯:০৬ : অপরাহ্ণ

দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে র‍্যাব-২–এ কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

ফরিদপুরে আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচারের মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

জানা গেছে, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে সংস্থাটির পক্ষে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত উত্তম কুমার বিশ্বাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়, উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়, যা বর্তমানেও চলমান। দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরপরই তিনি অসংখ্য হিসাব থেকে সব টাকা-পয়সা তুলে হিসাব বন্ধ করছেন, যা সন্দেহজনক। তিনি অনুসন্ধানের শুরু থেকে তেমন কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি, বরং বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং সময় নষ্ট করছেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অনুসন্ধানকালে উত্তম কুমার সব হিসাব বন্ধ করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তার বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।

এদিন দুদকের পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের কাছে আদালত জানতে চান, উত্তম কুমার এখনো চাকরিরত কি না? আদালতকে জানানো হয়, উত্তম কুমার এখনো কর্মরত। এরপর তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।

ফরিদপুরের আলোচিত এই অর্থ পাচারের মামলায় বরকত ও রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে গত ২১ এপ্রিল চার্জশিট গ্রহণ করেছেন একই আদালত।

এই মামলায় প্রথমে ২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু মামলায় কিছু অসংগতি পেয়ে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

পরে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। এটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর