রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ মে, ২০২৪ ৬:৩৯ : অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার এই তিন দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ বিষয়টিকে ইসরায়েলের জন্য ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনকে মঙ্গলবার সবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় স্পেন। দেশটির সরকারি এক মুখপাত্র বলেন, মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত সিদ্ধান্ত মেনে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন।
স্পেনের পর ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় নরওয়ে। স্বীকৃতি দেওয়ার পর নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড বলেন, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষকদের একটি হলো নরওয়ে।
এরপর আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকেও ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা আসে। এক বিবৃতিতে আয়ারল্যান্ড সরকার জানায়, তাদের দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এখন ডাবলিন এবং রামাল্লার মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া রামাল্লায় আয়ারল্যান্ডের পূর্ণ দূতাবাস এবং একজন রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ করা হবে।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সুইডেনের মতো কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এক দশক আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আবার ফ্রান্সের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে আসছিল। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ দখলদার ইসরায়েলের পাশে আলাদা স্বাধীন ফিলিস্তিন থাকবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ স্লোভেনিয়া ও মাল্টা ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ মনে করে, অঞ্চলটিতে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান জরুরি।