বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম, বাসায় পানিবন্দি মেয়র


চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে চকবাজার এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :২৭ মে, ২০২৪ ৩:৩৪ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সকাল থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে জোয়ারের পানি। দুয়ে মিলে পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকা। কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে থৈ থৈ করছে।

আজ সোমবার দুপুরে সরেজমিনে চকবাজার, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, বেপারিপাড়া, নয়াবাজার, ফইল্যাতলী, বড়পুল, হাজিপাড়া, পান্নাপাড়া, মোগলটুলি, কমার্স কলেজ রোড, মুরাদপুর, জিইসি, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড় ও বাঁদুরতলা এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মূল সড়কগুলো হাঁটু থেকে কোমর কিংবা অনেক স্থানে ‍বুক সমান পানিতে ডুবে গেছে। এতে ছোট তিন চাকার যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাস, প্রাইভেট কারসহ বড় যানবাহন চলাচলেও বেগ পেতে হচ্ছে। সড়কের পাশের অধিকাংশ দোকানপাট সব বন্ধ রয়েছে। অনেক দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার সড়কে গণপরিবহন একেবারেই নেই। চকবাজার থেকে বহদ্দারহাট যেতে টেম্পু ভাড়া পাঁচ টাকা। অথচ এখন আদায় করা হচ্ছে ১৫ টাকা। এছাড়া, রিকশাগুলোও তিনগুণ ভাড়া হাঁকাচ্ছে।

পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গণপরিবহনের সংখ্যা একেবারেই কম। ফলে রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনে অর্ধভেজা হয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া, ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া চলমান থাকায় নগরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

নগরীর বহদ্দারহাটে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীও নিজের বাসায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মেয়র বাসা ছেড়ে বের হতে না পারায় অফিসে পৌঁছাতে পারেননি। বাসার সামনে জমে থাকা পানি মোটর দিয়ে সড়কে ফেলতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিক প্রকল্পে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। এত টাকা ব্যয় হলেও সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে চট্টগ্রাম।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নগরবাসী।

বহদ্দরহাট এলাকার বাসিন্দা এস এম গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টির পানিতেই রাস্তাঘাট ডুবে যায়। সকালে কোমর পানিতে অফিসে যেতে হয়েছে। সারা বছর দেখি খালে কাজ চলে। কিন্তু এই কাজের কোনো সুফল পেলাম না।’

আগামীকাল মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। গতকাল রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৩৮.৪ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর