রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ মে, ২০২৪ ১১:০২ : অপরাহ্ণ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২০১৮ সালের মিডনাইট নির্বাচনের টোটাল আর্কিটেকচার হচ্ছেন সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আমরা এর আগে কখনো দেশের কোনো সেনাবাহিনীর প্রধানকে রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে শুনিনি। ওই নির্বাচনের পর তিনি বলে দিলেন, স্বাধীনতার পরে এতো সুষ্ঠু নির্বাচন এই দেশে আর হয়নি। অর্থাৎ শেখ হাসিনার পক্ষে তার একচেটিয়া একতরফা অবৈধ নির্বাচন জোর করে ক্ষমতায় থাকার সমস্ত প্রোটেকশন দিয়েছেন এই ব্যক্তি।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণকে বাদ দিয়ে, ভোটারদের বাদ দিয়ে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকার পেছনে সাবেক আইজি বেনজীর আহমদের মতো অফিসাররা যে ভূমিকা রেখেছেন শেখ হাসিনা কি ভুলে যাবেন? সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের আরব্য উপন্যাসের মত যে ঘটনাগুলো আমরা প্রতিদিন শুনছি এই ঘটনাগুলো কি জানতো না সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো? নিশ্চয়ই জানতো কিন্তু তারা কিছু করেনি।
রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ এবং কথাবার্তা হচ্ছে যার কারণে এখন তার ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করেছে। আমি আপনাদের বলি, কিছুই হবে না। একটা আইওয়াশ পূর্ণ করছে সরকার। দেখবেন কিছুদিন পর আরেকটি ঘটনা ঘটিয়ে সেদিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিবেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার প্রসঙ্গে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আগে তো কখনো কোনদিন আনোয়ারুল আজিম আনারের নাম শুনিনি। এই ঘটনা হওয়ার পর জানতে পারলাম তিনি একজন ভয়ংকর রকমের মাফিয়া ব্যক্তি ছিলেন সেখানকার। সে রকম একজন ব্যক্তি আবার একটি দলের নমিনেশন পাচ্ছেন তাও একবার না তিনবার। এই ধরনের ব্যক্তিরা কি করে এমপি হলেন এটা একটা সবচেয়ে বড় ঘটনা।
রিজভী বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পরে তদন্ত হওয়ার আগেই কি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিলেন, এখানে ভারতের কোনো সম্পৃক্ততা নাই? সুতরাং এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। সে যে টাইপের লোক হোক না কেন, তার অতীত পরিচয়ে তারপরেও অবৈধ সরকারের ডামি নির্বাচনের সংসদ সদস্যের ওপারে একটা ভিলা আছে। তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যাকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে, এই ধরনের লোকেরা ভারতে আশ্রয় পান কি করে?
আরও পড়ুন: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা