রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ মে, ২০২৪ ৮:০৭ : অপরাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রেমাল নামটি ওমানের দেওয়া। এর অর্থ ‘বালু’।
ঘূর্ণিঝড়টি সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে আগামীকাল রোববার রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এক বার্তায় বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিডব্লিউওটি’র ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।
এতে বলা হয়েছে, এ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তিমাত্রা হতে পারে ক্যাটাগরি-১। তবে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি এটি গতিবেগ পাবে না আশা করা যায়। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে এটি তার পূর্ণ শক্তিতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। যদিও দমকা বা ঝোড়ো বাতাসের বেগ আরও কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
বিডব্লিউওটি থেকে প্রকাশিত সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবনের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই এর ডান পাশের বাগেরহাট, শরণখোলা, বরিশাল, নোয়াখালী এমনকি চট্টগ্রামের অদূরবর্তী দ্বীপগুলোও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় ৭০-১১৫ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে ৬-৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনাও রয়েছে।