রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
প্রকাশের সময় : ২৩ মে ২০২৪, ২:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাকার ধামরাই উপজেলার বড়নালাই গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে গুমের অভিযোগের বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের জোরপূর্বক গুম বিষয়ক কমিটি (ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্স অর ইনভলেন্টারি ডিসাপিয়ারেন্স-ডব্লিউজিইআইডি) ১৩২ ও ১৩৩ সেশনের আলোচনায় বাংলাদেশ অংশে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার জেনেভা থেকে পাঠানো ডব্লিউজিইআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ডব্লিউজিইআইডি ১৩২ সেশনে বাংলাদেশে একজনের গুমের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ১৩৩ সেশনেও বিশ্বের নতুন করে ১০৭টি গুমের ঘটনাসহ পূর্বের ৪৮১টি গুমের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। এতেও বাংলাদেশের নাম এসেছে।
১৩২ সেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ নামে এক ছাত্র গুম হয়। রহমত উল্লাহ একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। অভিযোগ রয়েছে সেদিন রহমত উল্লাহকে বাড়ি থেকে কিছু মানুষ গুম করে, যারা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিনের কর্মকর্তা (র্যাব)। ডব্লিউজিইআইডি রহমত উল্লাহর গুমের বিষয়টি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে।
এদিকে গতকাল জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে র্যাবকে জড়িয়ে ‘বাংলাদেশ: নির্যাতনকারীরা যেভাবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এটি না দেখে মন্তব্য করা যাবে না। প্রথমে প্রতিবেদনটি দেখতে হবে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, গুমের অভিযোগগুলো তদন্ত করতে বাংলাদেশ সফর করতে মোট ৭ বার কমিশন থেকে সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে প্রথম অনুরোধ করেছিল ২০১৩ সালের ১২ মার্চ। এছাড়া ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালেও বাংলাদেশ সফরে অনুরোধ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।
মানবাধিকার কমিশনের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুম হওয়া ৭০ জনের কোনো হালনাগাদ তথ্য এখনও বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে দেয়নি।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেবে জাতিসংঘ