রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ মে, ২০২৪ ৫:৪৯ : অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিতে গত বছরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেক চেষ্টা করেছে, যা দুই দেশের সম্পর্কে খানিকটা টেনশন বা উত্তেজনা তৈরি করেছিলো। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র এখন আর পেছনে তাকাতে চাই না বরং সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে কেবলই সামনে তাকাতে চাই।’
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমি গত দুইদিন ধরে ঢাকায় আছি, দুইদেশের জনগণের মধ্যে নতুন করে আস্থা-বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করার জন্য। এখানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অহিংস নির্বাচন নিশ্চিতে গত বছরজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেক পরিশ্রম করেছে। যা আমাদের সম্পর্কে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি করেছিলো। যদিও এটি আমাদের সম্পর্কে খুবই সাধারণ বিষয়। কিন্তু এখন আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই, মোটেও পিছনে ফিরতে চাই না। আমরা আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করার উপায় খুঁজে বের করতে চাই।’
দুই দেশের মধ্যে এখনো অনেকগুলো অস্বস্তিকর ইস্যু রয়েছে জানিয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, ব্যবসায়িক পরিবেশের সংস্কারসহ আরও অনেক ইস্যু রয়েছে, যা নিয়ে আমি আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই কঠিন ইস্যুগুলো নিয়ে আমাদের আলোচনা চলমান থাকবে। পাশাপাশি দু’দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক অনেক বিষয় রয়েছে। যেখানে আমাদের পরস্পরের সহযোগিতা দরকার।’
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমরা এখানে নতুন নতুন বিনিয়োগের কথা ভাবছি। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ অবারিত করা, ক্লীন জ্বালানিসহ ভবিষ্যতের জন্য আমাদের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে।’
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন, তা হলো দুর্নীতি। তিনি বলেন, ‘আজকে আমি মন্ত্রীদের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা একসঙ্গে সরকারি কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে পারি। এর মাধ্যমে যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতি করেছে তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ঢাকা কবে বিনিয়োগের অর্থ দেবে জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র